শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:২০ পূর্বাহ্ন
এস. এম. রুবেল, মহেশখালীঃ
নির্দেশনা অমান্য করে এসাইনমেন্টের নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে মহেশখালীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন থেকে বন্ধ থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে হঠাৎ টাকা নেয়ার এই অশুভ প্রতিযোগীতা শুরু হয় অ্যাসাইন্টমেন্ট ইস্যুতে। বিভিন্ন স্কুলে ইতিমধ্যে ২ থেকে ৩ শত টাকা পর্যন্ত অ্যাসাইন্টসেন্ট ফি বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মহেশখালীর সবকটি উচ্চ বিদ্যালয় ও দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের এসাইনমেন্টের টাকা আদায় করছে। শ্রেনী ভিত্তিক নির্দিষ্ট একটি ফি নির্ধারণ করে এ টাকা উত্তোলনের নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষকগণ। কোন কোন প্রতিষ্ঠানে এসাইনমেন্ট জমাদানের সময় করোনাকালীন বন্ধ থাকা মাস গুলোর মাসিফ ফি পরিশোধে কড়া নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পরিশোধ না করলে এসাইনমেন্ট জমা নিবেনা বলেও জানান অনেক শিক্ষক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জানান, “স্যারেরা এসাইন্টমেন্ট বাবদ ফি নিয়েছেন। স্কুলের সম্পূর্ণ বেতন পরিশোধ না করলে এসাইনমেন্ট জমা নিবেনা বলে জানিয়েছেন। এসাইনমেন্টের জন্য স্কুলের স্যারেরা ২২০ টাকা করে নিয়েছে। এছাড়াও খাতা মূল্যায়ণের ফি বাবদ আরো ১৮০ টাকা নিয়ে যেতে বলেছেন।”
এসাইন্টসেন্টের টাকা না নিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশনা থাকলেও কেন টাকা আদায় করছেন তা জানতে চাইলে এই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেন- “জেলা শিক্ষা অফিসের নির্দেশনা মেনে এই টাকা নেয়া হচ্ছে।” অথচ খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এসাইনমেন্টের ফি বাবদ শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে টাকা নেয়ার নির্দেশনা জেলা শিক্ষা অফিস থেকে দেয়া হয়নি। বিভিন্ন অযুহাতে স্কুল কর্তৃপক্ষ এই টাকা নিয়ম বহির্ভূত ভাবে আদায় করছেন।
মিজানুর রহমান, নাজিম উদ্দীন, শামশুল আলম সহ কয়েজন অভিভাবক বলেন- “করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক প্রভাব এখন পড়ছে। নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের দাম বৃদ্ধির সাথে সাথে আয়রোজগার কমেছে অনেক। তাই চরম অর্থনৈতিক সংকট চলছে এখন। এই দুঃসময়ে অনৈতিকভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক টাকা আদায়ের বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং আমাদের জন্য কষ্টকর। আমাদের ছেলে মেয়েদের কাছ থেকে এসাইনমেন্ট বাবদ নেয়া টাকা ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করা হোক।”
এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেন, “এসাইনমেন্টের টাকা নেয়ার ব্যাপারে বেশ কয়েকটি লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়াও টাকা আদায় না করার জন্য সকল প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যারা ইতিমধ্যে টাকা নিয়েছেন, তাদের দ্রুত টাকা ফেরত দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। এই সংক্রান্তে যে কোন অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
ভয়েস/আআ